রাজধানীর রমনা এলাকা হতে এক শিশু সন্তানের জননীকে ধর্ষণকারী মাদ্রাসার হুজুর মোঃ আলমগীর মোল্যা’কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

১। রাজধানীর রমনা থানাধীন বটান কমার্সিয়াল কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকা হতে এক শিশু সন্তানের জননীকে মাদ্রাসার হুজুর কর্তৃক ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ১। মোঃ আলমগীর মোল্যা (২৮), পিতা-মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, সাং-বরিশাট, থানা-শ্রীপুর, জেলা-মাগুড়াকে ধর্ষণ মামলা রুজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৭/১২/২০২২ তারিখ রাত ২৩০৫ ঘটিকায় গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ, বিজিবিএম, পিবিজিএম, পিএসসি।

২। অধিনায়ক জানান, ধৃত আসামী রাজধানী রামপুরা থানার ২৭/১২/২০২২ তারিখের একটি ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী। মামলা দায়ের হওয়ার পরই সে গ্রেফতার এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে অবস্থান করে আসছে।

৩। অধিনায়ক আরো জানান, ভিকটিম রাজধানীর রামপুরার, চৌধুরীপাড়া, মালিবাগ ১০০৬ এর তামিমুল কোরআন মাদ্রাসায় একটি বাসায় তার এক শিশু সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। একপর্যায়ে ধৃত আসামি মোঃ আলমগীর মোল্লা। গত তিন মাস যাবৎ তামিমুল কোরআন মাদ্রাসা মালিবাগ রামপুরায় শিক্ষকতা করে আসছিল। সেই সুবাদে উক্ত মাদ্রাসায় বসবাস করাকালীন ভিকটিমের সাথে ধৃত আসামীর পরিচয় হয়। উক্ত মাদ্রাসার একই ফ্ল্যাটে পার্শ্ববর্তী গৃহবধূ ভিকটিম মোছাঃ রতœা আক্তার (১৯) বসবাস করায় ধৃত আসামী ভিকটিমকে ফুসলাইয়া মাদ্রসা বন্ধ থাকায় ধৃত আসামীর নিজ কক্ষে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বামী ব্যক্তিগত কাজে ঘরে প্রবেশ করলে তার স্ত্রীর সাথে আসামির অনৈতিক কাজ দেখতে পায়। ভিকটিমের স্বামী তাৎক্ষণিক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসার পূর্বে আসামি কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নম্বর-৩১ তাং ২৭/১২/২০২ ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক)।

৩। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।